শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ?

এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ

যখন কোন শাসন ব্যবস্থায় সরকারের যাবতীয় ক্ষমতা একটিমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে কেন্দ্রীভূত থাকে তখন তাকে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা বলে।

এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য গুলি লেখ :-

১. কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা:-‌ এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সকল প্রকার কাজ কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু শাসনকার্যের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কতগুলি আঞ্চলিক সরকার গঠন করতে পারে এইসব সরকারের নিজস্ব কোন ক্ষমতা থাকেনা কেন্দ্রীয় সরকার যে দায়িত্ব প্রদান করে তা নিষ্ঠা সহকারে পালন করাই তাদের প্রধান কর্তব্য।

২. সংবিধানের প্রকৃতি:- এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধান লিখিত বা অলিখিত হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রের সংবিধান লিখিত কিন্তু বৃটেনের সংবিধান  অলিখিত।

৩. সুপরিবর্তনীয় সংবিধান:- এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় সংবিধান সহজেই পরিবর্তন করা যায় । সংবিধান সুপরিবর্তনীয় হওয়ার ফলে কেন্দ্রীয় আইনসভা সাধারণ আইন প্রণয়নের পদ্ধতি অনুসারে সংবিধান সংশোধন করতে পারে।

৪. এক নাগরিকত্বের স্বীকৃতি:- এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থায় নাগরিকেরা এক নাগরিকত্ব পেয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বি-নাগরিকত্ব দেখা যায়। কিন্তু ব্রিটেনে এক নাগরিকত্ব দেখা যায়।

মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৮

ভারতের সংবিধানে বর্ণিত নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্য গুলি লেখ?


অধিকার ও কর্তব্য অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। কর্তব্য ছাড়া অধিকার ভোগ করা যায় না কারণ অধিকারের মধ্যে কর্তব্য নিহিত রয়েছে তাই ভারতের সংবিধানে মৌলিক অধিকারের সঙ্গে কর্তব্য লিপিবদ্ধ রয়েছে তবে 1976 সালে 42 তম সংবিধান সংশোধনীর দ্বারা সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায়ের [৫১(ক)] নং ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়নের মৌলিক কর্তব্য গুলি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতের মৌলিক কর্তব্য গুলি প্রস্তুত করা হয়।

বর্তমানে ভারতের মৌলিক কর্তব্য সংখ্যা 11 টি। এই মৌলিক কর্তব্য গুলি হল :- 

১. সংবিধান মেনে চলা , সংবিধানের আদর্শ , প্রতিষ্ঠানসমূহ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে।

২. যে সকল মহান আদর্শ স্বাধীনতা সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করেছিল সেগুলোর প্রতি আনুগত্য দেখাতে ও অনুসরণ করতে হবে।

৩. ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতি কে সমর্থন ও রক্ষা করতে হবে।

৪. দেশ রক্ষা ও জাতীয় সেবা কার্যে আত্ম-নিয়োগের জন্য আহূত হলে সারা দিতে হবে।

৫. ধর্মগত, ভাষাগত, অঞ্চলগত বা শ্রেণীগত বিভেদের উর্ধে উঠে ভারতবাসীর মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব বোধ সম্প্রসারিত করতে হবে এবং নারীর মর্যাদা হানিকর সকল পথ পরিহার করতে হবে।

৬. ভারতীয় মিশ্র সংস্কৃতির গৌরবময় ঐতিহ্য গুরুত্ব দেওয়া ও সংরক্ষণ করতে হবে।

৭. বনভূমি, নদ-নদী, বন্যপ্রাণী, প্রকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নতি এবং জীবজন্তুর প্রতি মমত্ববোধ প্রকাশ করতে হবে।

৮.‌ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, মানবিকতাবোধ, অনুসন্ধিতসা, সংস্কারমূলক মনোভাবের প্রসার সাধন করতে হবে।

৯. জাতীয় সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও হিংসার পথ পরিহার করতে হবে।

১০. সকল ক্ষেত্রে জাতীয় উন্নতির উৎকর্ষ এবং গতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত সকল কাজের চরম উৎকর্ষের জন্য সচেষ্ট হতে হবে।

১১. 2002 সালের সংবিধান সংশোধনের অনুসারে নতুন সংযোজিত কর্তব্যটি হলো 6 থেকে 14 বছর বয়সে প্রত্যেক শিশুকে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে এ হলো মাতা পিতা বা অভিভাবক দের মৌলিক কর্তব্য। 

সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮

সার্বভৌমিকতার একাত্ববাদী তত্ত্ব আলোচনা কর।



সার্বভৌমিকতা হল রাষ্ট্রের অন্যতম আবশ্যিক গঠনকারী উপাদান। সার্বভৌমিকতার ইংরেজি শব্দ 'Sovereignty' কথাটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ 'Superanus' থেকে। যার অর্থ হলো চরম্ বা সর্বশ্রেষ্ঠ।

রাষ্ট্র কর্তৃক ব্যবহৃত চরম ক্ষমতাকেই সার্বভৌমিকতা সাধারণভাবে বলা হয়।

সার্বভৌমিকতার একাত্ববাদী তাত্ত্বিকদের নাম গুলি হল :- Hobbs, John Austin, Bodin, Rausseau .

সার্বভৌমিকতার একাত্ববাদ সম্পর্কে জন অস্টিন একটি সংজ্ঞা দিয়েছিলেন।




অস্টিনের সংজ্ঞাটি হলো:- যদি কোন একটি সমাজে সুনির্দিষ্ট এমন কোন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ থাকে যে বা যারা অনুরূপ অপর কোনো কর্তৃপক্ষের প্রতি আনুগত্য থাকেনা কিন্তু সেই সমাজের সকল মানুষের স্বাভাবিক আনুগত্য লাভ করে থাকে তাহলে সেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সার্বভৌম বলা হয় এবং সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ সহজে সমাজ তা একটি স্বাধীন ও রাজনীতি সমাজ।

অস্টিনের এই সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে সার্বভৌমিকতার একাত্ববাদ তত্ত্বের কতগুলি বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এগুলি হল:-

১. অস্টিনের মতে সার্বভৌম বলতে নির্দিষ্ট মানবীয় কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাকে বোঝায় এটি জনসাধারণের ইচ্ছে প্রভৃতি কোন অস্পষ্ট কর্তৃপক্ষকে বোঝায় না তাই অস্টিনের সংজ্ঞা অনুযায়ী সার্বভৌমিকতা হল সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট

২. সার্বভৌম ক্ষমতা হলো সকল অধিকারের উৎস।

৩. জনগণের স্বাভাবিক আনুগত্যই হল সার্বভৌমিকতার ভিত্তি।

৪. রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা তার মধ্যেকার সকল ব্যক্তি গোষ্ঠী ও সংঘের ওপর সমভাবে প্রযোজ্য।

৫. সার্বভৌমের আদেশই হলো আইন এ নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তি পেতে হয়।

৬. সার্বভৌম শক্তি হলো অবিভাজ্য অর্থাৎ সার্বভৌমের বিভাজন ঘটানো সার্বভৌম ক্ষমতার অবসান ঘটানো। 

রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮

GK

১. মানুষ প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তর:- হোমোসেপিয়েন্স

২. ভারত কোন জলবায়ুর দেশ?

উত্তর:- মৌসুমী জলবায়ু

৩. বায়ুমন্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
উত্তরঃ- নাইট্রোজেন (৭৮.০৮%)

৪. কোন যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর চাপ মাপা হয়?

উত্তর :- ব্যারোমিটার

৫. কোন যন্ত্রের সাহায্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাপা হয়?

উত্তর :- রেন গজ

৬. কোন যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর উষ্ণতা মাপা হয়?
উত্তর:- সিক্সের লঘিষ্ঠ ও গরিষ্ঠ থার্মোমিটার

৭. তৈগা শব্দের অর্থ কি?

উত্তর:- বসন্তকালীন বনভূমি

৮. শক্তি কোন এককের সাহায্যে মাপা হয়?
উত্তর :- calorie একক বা জুল একক।

৯. ভূমিকম্পের কোন তরঙ্গটি সবচেয়ে শক্তিশালী?
উত্তর:- P তরঙ্গ

১০. ভূমিকম্পের কোন তরঙ্গটি সবচেয়ে দুর্বল?

উত্তর:- S তরঙ্গ




শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮

বাংলা শব্দভাণ্ডার


ভাষার সম্মান নির্ভর করে তার প্রকাশ ক্ষমতার ওপর । যে ভাষা যত বিচিত্র ভাববস্তু এবং যত বেশি অনুভূতি প্রকাশ করতে সক্ষম সে ভাষা ততবেশি উন্নত । ভাষার এই প্রকাশ ক্ষমতার আধার হলো ভাষার শব্দ সম্পদ । ভাষার এই শব্দ সম্পদ 3 ভাবে সমৃদ্ধ হয়
১. উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত প্রাচীন ভাষা সাহায্যে ।
২.অন্য ভাষা থেকে গৃহীত আগন্তুক শব্দের সাহায্যে এবং
৩. নতুন সৃষ্ট শব্দের সাহায্যে ।

আজকের উন্নত বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে তুলেছে বাংলা শব্দ ভান্ডার কে আমরা উৎসগত দিক থেকে তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। যথা:-
১. মৌলিক শব্দ ২. আগন্তুক শব্দ ৩. নব গঠিত শব্দ

১. মৌলিক শব্দ:- যেসব শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা বৈদিক ও সংস্কৃত থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে বাংলায় এসেছে সেগুলিকে মৌলিক শব্দ বলে। এই মৌলিক শব্দগুলিকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায় :- ১.তৎসম ২.অর্ধ তৎসম ৩.তদ্ভব
তৎসম:- যেসব শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে অপরিবর্তিতভাবে বাংলায় এসেছে সেগুলিকে তৎসম শব্দ বলে। এর মূল উৎস হলো বৈদিক ও সংস্কৃত ভাষা। বাংলায় প্রচলিত তৎসম শব্দের সংখ্যা কম নয়। যেমন - জল,বায়ু ,কৃষ্ণ সূর্য ,জীবন-মৃত্যু ,বৃক্ষ, নারী ,পুরুষ ইত্যাদি।

© তৎসম শব্দ কে আবার দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় :- 

  ১. সিদ্ধ তৎসম ও ২. অসিদ্ধ তৎসম
সিদ্ধ তৎসম:- যেসব শব্দ বৈদিক ও সংস্কৃত সাহিত্যে পাওয়া যায় এবং যেগুলি ব্যাকরণসিদ্ধ সেগুলিকে সিদ্ধ তৎসম বলে। যেমন:- সূর্য মিত্র কৃষ্ণ ইত্যাদি।

অসিদ্ধ তৎসম:- যেসব শব্দ বৈদিক ও সংস্কৃত থেকে পাওয়া যায় না এবং ব্যাকরণসিদ্ধ নয় অথচ প্রাচীনকালে মৌখিক সংস্কৃতির প্রচলিত ছিল সেগুলিকে Dr Sukumar Sen অসিদ্ধ তৎসম বলেছেন। যেমন:- চাল ডাল ঘর ইত্যাদি।

অর্ধ তৎসম শব্দ :- যেসব শব্দ প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে মধ্যবর্তী স্তর প্রাকৃতের মাধ্যমে না এসে সোজাসোজি বাংলায় এসেছে এবং আসার পর কিঞ্চিৎ পরিবর্তন ও বিকৃতি লাভ করেছে সেগুলিকে অর্ধ-তৎসম শব্দ বলে। যেমন :-
কৃষ্ণ >কেষ্ট, নিমন্ত্রণ > নেমন্তন্ন , ক্ষুধা > খিদে,

তদ্ভব:- যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে সোজাসুজি বাংলায় আসেনি মধ্যবর্তী প্রাকৃত স্তর অতিক্রম করে পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় এসেছে তাদের তদ্ভব শব্দ বলে।

তদ্ভব শব্দ কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় :- দেশি ও বিদেশি ।

দেশি তদ্ভব শব্দ:- যেসব তদ্ভব শব্দ বৈদিক ও সংস্কৃত থেকে নিজস্ব পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলায় এসেছে সেগুলিকে দেশি তদ্ভব শব্দ বলে।

বিদেশি তদ্ভব শব্দ:- যেসব শব্দ বৈদিক ও সংস্কৃত থেকে প্রথমে ইন্দো-ইউরোপীয় বংশের অন্য ভাষা থেকে বা ইন্দো-ইউরোপীয় ছাড়া অন্য বংশের ভাষা থেকে আগন্তুক ভাবে এসেছিল এবং পরে প্রাকৃত মাধ্যমে পরিবর্তন লাভ করে বাংলায় এসেছে সেই শব্দগুলিকে বিদেশী তদ্ভব শব্দ বলে।

২. আগন্তুক শব্দ :- যেসব শব্দ অন্য কোন ভাষা থেকে সংস্কৃত হয়ে আসেনি অন্য ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে সেই শব্দগুলিকে আগন্তুক শব্দ বলে।

. নব গঠিত শব্দ:- এই নবগঠিত শব্দের মধ্যে কিছু বিমিশ্র শব্দ রয়েছে আবার কিছু মিশ্র শব্দ আছে । যেমন :-হেড পন্ডিত , হাফহাতা ইত্যাদি

বঙ্গদর্শন পত্রিকা

বঙ্কিমচন্দ্রের চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা বঙ্গদর্শন। বহরমপুরে সরকারি চাকরিতে অধিষ্ঠিত থাকার সময় তিনি এই পত্রিকার প্রকাশের পরিকল্পনা করেন সাহিত্য মূলক রচনা বৈচিত্র সৌন্দর্য ও রুচির দিক থেকে এটি ছিল ঊনবিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ পত্রিকা । রবীন্দ্রনাথ পত্রিকাটির আবির্ভাব সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করেছেন এইভাবে "পূর্বে কি ছিল এবং পরে কি পাইলাম তাহা দুই কালের সন্ধিস্থলে দাঁড়াইয়া আমরা এক মুহূর্তে অনুভব করিতে পারিলাম"।

বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন একাধারে এই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রধান লেখক। পত্রিকাটি কিছু দিন বন্ধ থাকার পর বঙ্কিমচন্দ্রের অগ্রজ সঞ্জীব চন্দ্রের সম্পাদনায় এটি পুনঃ প্রকাশিত হয়। বাংলা সাহিত্যে এই পত্রিকার অবদান নানা দিক থেকে উল্লেখযোগ্য সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম সামাজিক উপন্যাস 'বিষবৃক্ষ' প্রধান উপন্যাস গুলি এবং বহু প্রবন্ধ এখানে প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকাটি কেন্দ্র করে বঙ্কিম অনুসারী এবং তার বাইরে এক বৃহৎ লেখক গোষ্ঠী গড়ে ওঠে। ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতো লেখকদের পাশাপাশি দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর , তরুণ রবীন্দ্রনাথের লেখাও এখানে প্রকাশিত হয় এই পত্রিকার হাত ধরেই।

বাংলা সাহিত্য ,সামাজিক উপন্যাস , পুস্তক সমালোচনা আধুনিক প্রবন্ধ রচনা ইত্যাদি বহু নতুন আঙ্গিকে রচনার সূত্রপাত ঘটে। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ এই পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব নিয়ে নবপর্যায় বঙ্গদর্শন প্রকাশ করে রবীন্দ্রনাথের পর মোহিতলাল মজুমদার ও কিছুকাল এই পত্রিকার সম্পাদনা করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৮

SumTalks: বাংলা ভাষার উদ্ভবের ইতিহাস সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

SumTalks: বাংলা ভাষার উদ্ভবের ইতিহাস সংক্ষেপে বর্ণনা কর।: খ্রিস্টীয় হাজার সালের পূর্বেকার বাংলা ভাষার কোন নিদর্শন না থাকায় বাংলা ভাষার উৎস খোঁজা কঠিন তবে এতটুকু জানা গেছে আধুনিক ভারতীয় আর্য ভাষা...

বাংলা ভাষার উদ্ভবের ইতিহাস সংক্ষেপে বর্ণনা কর।

খ্রিস্টীয় হাজার সালের পূর্বেকার বাংলা ভাষার কোন নিদর্শন না থাকায় বাংলা ভাষার উৎস খোঁজা কঠিন তবে এতটুকু জানা গেছে আধুনিক ভারতীয় আর্য ভাষার অন্যতম হলো বাংলা ভাষা। সংস্কৃতির সঙ্গে এর সাদৃশ্য আছে কিন্তু তা প্রত্যক্ষ নয়। sanskrit হল ইন্দো-ইউরোপীয় বংশের প্রাচীন ভাষা। বাংলা ভাষা উদ্ভবের সূত্র পৃথিবীর ভাষা বংশের নিহিত। ভাষার সাদৃশ্য বিচারে পৃথিবীর প্রায় 4000 ভাষাকে বারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধানএর মধ্যে প্রধান ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ।

                   ইউরোপ ও এশিয়ার বহু ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ থেকে এসেছে । ক্রমবিবর্তনের পথে বাংলা ভাষার জন্ম এই উন্নত বংশে। এই ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দুটি গুচ্ছ :- ১. সত্যম ২. কেন্তুম। সত্যম গুচ্ছের একটি ভাষা ইন্দো-ইরানীয়। এই ইন্দো-ইরানীয় শাখা ভারতের সিন্ধু উপকূলে প্রবেশ করে প্রায় 2000 বছর আগে। ভারতে প্রবেশকারী শাখা ভারতীয় আর্য নামে পরিচিত হয়  । খ্রিস্টের জন্মের আগে প্রায় দুই হাজার বছর ধরে প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার বিস্তৃতি ও বিবর্তন চলে। এই বিবর্তনের তিনটি ভাগ :-
১. প্রাচীন ভারতীয় আর্য, ২. মধ্য ভারতীয় আর্য ৩. আধুনিক ভারতীয় আর্য।

১. প্রাচীন ভারতীয় আর্য:-     এই ভাষার সময়কাল পনেরশো ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দদ থেকে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। এই ভাষার প্রধান সাহিত্যিক কৃতি হল বেদ। ঋক বেদ এগুলির মধ্যে অন্যতম গ্রন্থ।  বেদের ভাষা বৈদিক ভাষা নামে পরিচিত। এই বৈদিক ভাষার সঙ্গে সংস্কৃতির কিছুটা পার্থক্য আছে। তবে সংস্কৃত ভাষার দুটি রূপ সেই সময় স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।  একটি  হল সাহিত্যিক অপরটি হল কথ্য।

২. মধ্য  ভারতীয় আর্য  :-   600 খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে 900 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে লৌকিক বা কথ্য সংস্কৃত রূপান্তরিত হয়েছিল প্রকৃত তথা মধ্য ভারতীয় আর্য। এই সময়কার ভাষা পালি ভাষা নামে পরিচিত । অশোকের অনুশাসনের শিলালিপি এই ভাষায় নিদর্শন আছে। একসময় বিবর্তনের পথে প্রাকৃত ভাষা অপভ্রংশ ও অবহট্টের পরিবর্তিত হয়। এই অপভ্রংশের তিনটি স্তর :- ১. শৌর শ্রেণী ২. মহারাষ্ট্রীয় ৩. মাগধি। অনেকে বলে থাকেন এই মাগধী অপভ্রংশ বাংলা ভাষার উদ্ভব এর উৎস। 

৩. আধুনিক ভারতীয় আর্য :- 900 খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত এই ভাষান্তরের ব্যাপ্তি। বিভিন্ন অপভ্রংশ থেকে মোটামুটি 10 শতকে হিন্দি ,বাংলা, গুজরাটি ,মারাঠি প্রভৃতি ভাষার জন্ম। এর সবই আধুনিক ভারতীয় আর্য ভাষার নিদর্শন। এক সময় অপভ্রংশের ও অবহট্টের  বিবর্তন প্রাচীন বাংলা ভাষার সৃষ্টি করে। এই প্রাচীন বাংলা ভাষার নিদর্শন চর্যাপদ।

বুধবার, ৬ জুন, ২০১৮

                                                               TENSE

PRESENT TENSE

PRESENT INDEFINITE TENSE
PRESENT PERFECT TENSE
PRESENT CONTINUOUS TENSE 
PRESENT PERFECT CONTINUOUS TENSE 

PAST TENSE 

PAST INDEFINITE TENSE
PAST PERFECT TENSE
PAST CONTINUOUS TENSE 
PAST PERFECT CONTINUOUS TENSE

FUTURE TENSE

FUTURE INDEFINITE TENSE 
FUTURE PERFECT TENSE 
FUTURE CONTINUOUS TENSE 
FUTURE PERFECT CONTINUOUS TENSE 

রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮

SamSung galaxy j7 pro

Display

5.50-inch
Processor1.6GHz octa-core
Front Camera13-megapixel
Resolution1080x1920 pixels
RAM3GB
OSAndroid 7.0
Storage64GB
Rear Camera13-megapixel
Battery Capacity3600mAh



Release dateJune 2017
Form factorTouchscreen
Dimensions (mm)152.40 74.70 7.90
Battery capacity (mAh)3600
Removable batteryNo
ColoursBlack, Gold

DISPLAY

Screen size (inches)5.50
TouchscreenYes
Resolution1080x1920 pixels
Pixels per inch (PPI)401

HARDWARE

Processor1.6GHz octa-core
Processor makeExynos 7870
RAM3GB
Internal storage64GB
Expandable storageYes
Expandable storage typemicroSD
Expandable storage up to (GB)128

CAMERA

Rear camera13-megapixel
Rear FlashLED
Front camera13-megapixel
Front FlashLED

mobile click


শনিবার, ২ জুন, ২০১৮

An April Day

An April Day
                                                                       - Henry Wadsworth Longfellow

Lets read,                                                                                          

When the warm sun, that brings
Seed time and harvest, has returned again,
'T is sweet to visit the still wood, where springs 
the first flower of the plain.

I love the season well,
when forest glades are teeming with bright forms,
Nor dark and many-folded clouds foretell
The coming-on of storms.

From the earth's loosened mould 
The saplings draws its sustenance, and thrives,
Though stricken to the heart with winter's cold,
The drooping tree revives.

The softly-warbled song
Comes from the pleasant woods, and coloured wings
Glance quick in the bright sun, that moves along 
The forest openings.

When the bright sunset fills
The silver woods with light, the green slope throws
Its shadows in the hollows of the hill,
And wide the upland glows.

সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮

Some Books Name Related to Political Science.

1. Who is the Writer of "A Theory of Justice"
Answer :- John Rawls is the writer of A Theory of Justice.

2.Who is the Writer of " The Political System"
Answer:- David Easton is the writer of the political system.

3. Who is the Writer of " Models of Democracy"
Answer:- David Held is the writer of models of democracy.

4. Who is the Writer of " Marxism and politics"
Answer:- Ralph Miliband is the writer of marxism and politics.

5.Who is the Writer of "Prison Notebooks"
Answer:- Antonio Gramsci is the writer of prison notebooks.


Books Writers Names

1. The city of god - গ্রন্থটির রচয়িতা কে? Ans :- Augustine of Hippo 2. The prince - গ্রন্থটির রচয়িতা কে? Ans :- Niccolo Machiavelli ...